সৈয়দপুরে গৃহবধূ নিহতের ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক সন্তানের জননীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এমন অভিযোগ এনে স্বামীসহ পরিবারের ৭ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা মো. বেলাল আলী শাহ ফকির।

১২ জুলাই রোববার রাতে সৈয়দপুর থানায় ওই মামলা দায়ের করা হয়। এটি ঘটেছে সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হাজারীহাট বাজারে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নীলফামারী সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের ফকির পাড়ার মো. বেলাল আলী শাহ ফকিরের মেয়ে মোছা. আয়শা সিদ্দিকা বন্যা (২০) এর সাথে তিন বছর পূর্বে সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হাজারীহাট বাজারের মো. হোসেন আলির ছেলে মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বাদশা (২৭) এর বিয়ে হয়।

বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি ১১ মাস বয়সী সন্তান রয়েছে। তার নাম আবু ইসরাক বোরহান। সন্তান জন্মের পর থেকে প্রায় সময় স্ত্রীর উপর স্বামী শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। এক সময় ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে বসে। তার দাবি পুরন না করায় চলতো অমানবিক নির্যাতন।

এ নিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকার মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিচার শালিসও হয়। সম্প্রতি ৫/৬ দিন পূর্বেও মেয়ের বাবার বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে সকলের সামনে ক্ষমা চেয়ে স্ত্রীকে বাসায় নিয়ে আসে বাদশা। কিন্তু নিয়ে এসে তাকে হত্যা করা হয় এমন অভিযোগ এনে নিহতের বাবা মো. বেলাল আলী শাহ ফকির বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলো- নিহতের স্বামী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বাদশা (২৫), দেবর মো. আবু রায়হান রাজা (২৪) ও মো. জমিদার (২৩), ননদ মোছা. দুলালি বেগম (২৮), মোছা. রুপালি বেগম (২৬), শাশুড়ি মোছা. শাহনাজ বেগম (৫৫) ও শ্বশুর মো. হোসেন আলী (৬০)। এদের মধ্যে দুইজন আসামি জেল হাজতে রয়েছে।

বাকি আসামিরা ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ করছেন মামলার বাদিরা।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. শাহা আলম জানান, তাদের মামলা হয়েছে। দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে। তবে তাদের দ্রুত সময়ে গ্রেফতার করা হবে।

এদিকে ১৫ জুলাই নিহতের পরিবার পুলিশ সুপার মো. মোকবুল হোসেনের সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার দাবি করেন।