গোলকিপারের নৈপুণ্যে বছরের ষষ্ঠ শিরোপা পিএসজির
স্পোর্টস ডেস্ক: টাইব্রেকারে প্রতিপক্ষ ফ্ল্যামেঙ্গোর চারটি শট ঠেকিয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের শিরোপা জিততে দলকে নেতৃত্ব দেন রুশ এই গোলরক্ষক।নির্ধারিত সময় ও অতিরিক্ত সময় শেষে ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে অবিশ্বাস্য নৈপুণ্য দেখিয়ে পিএসজিকে ২-১ ব্যবধানে জয় এনে দেন সাফানভ। লুইস এনরিকের দল এই জয়ের মাধ্যমে ক্লাব ইতিহাসে নতুন এক মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলল।ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে আধিপত্য দেখায় পিএসজি। প্রায় ৬০ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রথমার্ধের শেষদিকে এগিয়েও যায় ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। ৩৮ মিনিটে দিজিরে দুয়ের শট প্রতিহত হলেও ফিরতি বলে গোল আদায় করে নেন খাভিচা কাভারাস্খেলিয়া। প্রথমার্ধে এটিই ছিল ম্যাচের একমাত্র গোল।দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো। ৫৯ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি জর্জিনিয়ো। এরপর নির্ধারিত ৯০ মিনিট এবং অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও আর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচের নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে।টাইব্রেকারে প্রথম দুই শটে গোল করে দুই দলই। এরপরই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন সাফানভ। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে সাউল নিগেসের শট ঠেকান তিনি। সুযোগ পেয়েও পিএসজির হয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন ফিফা বর্ষসেরা উসমান দেম্বেলে, যার শট রুখে দেন ফ্ল্যামেঙ্গোর গোলকিপার।তবে দেম্বেলের মিসেও মনোবল হারাননি সাফানভ। একে একে পেদ্রো, লিও পেরেইরা ও লুইস আরাউহোর শট ঠেকিয়ে ফ্ল্যামেঙ্গোর স্বপ্ন ভেঙে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নুনো মেন্দেসের সফল শটে ২-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় পিএসজির।বছরের শেষ প্রান্তে এসেও পিএসজির সাফল্যের ক্ষুধা যে কমেনি, তা আবারও প্রমাণ হলো। ইউরোপ সেরার পরিচয়ের পর উয়েফা সুপার কাপ জয়ের ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরেকটি ট্রফি যোগ করল প্যারিসের ক্লাবটি—যা তাদের আধিপত্যে যুক্ত করল নতুন এক পালক।