রাঙ্গাবালীতে পাঁচ তরুণের মাথা ন্যাড়া করার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে সালিশের নামে ইউপি সদস্য রেশাদ খলিফার নির্দেশে শিক্ষার্থীসহ পাঁচ তরুণের মাথা ন্যাড়া করার ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব দাশ পুরকায়স্থ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এশিয়ান টেলিভিশনে ২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল ৬টার সংবাদে 'সালিশের নামে মানবাধিকার লঙ্ঘন: রাঙ্গাবালীতে ইউপি সদস্যের নির্দেশে পাঁচ তরুণের মাথা ন্যাড়া' শীর্ষক একটি প্রতিবেদন হয়। পরে এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত কমিটি গঠনের চিঠিতে বলা হয়েছে, রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রেশাদ খলিফা সালিশের নামে প্রকাশ্যে শিক্ষার্থীসহ পাঁচজনের মাথা ন্যাড়া করার বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে অধিকতর তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।

চিঠি অনুযায়ী, তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানকে। সদস্য হিসেবে রয়েছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাহজাহান আলী এবং উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর আবু ইউসুফ মো. সরোয়ার হোসেন।

তদন্ত কমিটিকে সরেজমিন তদন্ত শেষে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব দাশ পুরকায়স্থ বলেন, এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। প্রতিবেদন পেয়ে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি এবং ভিডিও থেকে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, জমিজমা সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ নিয়ে দুই তরুণের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা নিয়ে ২৬ অক্টোবর রোববার সকাল ১০টায় রাঙ্গাবালীর ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের মধ্য চতলাখালী গ্রামে সালিশ বসিয়ে ইউপি সদস্য রেশাদ খলিফার নির্দেশে এবং উপস্থিতিতে পাঁচ তরুণের মাথা ন্যাড়া করানো হয়। ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সালিশের বৈঠকে নাপিত দিয়ে তরুণদের মাথা ন্যাড়া করানো হচ্ছে, আর পাশে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ইউপি সদস্য নিজেই।