নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বৃহত্তম অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ রেকর্ড সাফল্যের সাথে তাদের ‘১১.১১ বছরের সবচেয়ে বড় সেল’ ক্যাম্পেইন সম্পন্ন করেছে।

২০২৫ সালের অন্য যে কোনো ক্যাম্পেইনের তুলনায় এবারের ১১.১১-তে ১০ গুণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে, যা দেশের ই-কমার্স খাতে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।


এ বছর লাখো গ্রাহকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মুখর ছিল এই আয়োজন, যেখানে আকর্ষণীয় সব ডিল এবং এক্সক্লুসিভ ভাউচারের মাধ্যমে গ্রাহকরা সব ক্যাটাগরি মিলিয়ে ৬.৬ কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় করেছেন।
এই সাফল্যের মূল চালিকাশক্তি ছিল অথেনটিক পণ্যের নিশ্চয়তা প্রদানকারী চ্যানেল ‘দারাজমল’। সাধারণ বিক্রেতাদের তুলনায় দারাজ মলের ব্রান্ড গুলোতে ১০ গুণ বেশি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে, যা ব্র্যান্ডেড ও আসল পণ্যের প্রতি গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান আস্থারই প্রতিফলন।
পুরো ক্যাম্পেইন জুড়ে গ্রাহকদের কেনাকাটার তালিকায় শীর্ষে ছিল হোম অ্যাপ্লায়েন্স, মোবাইল ও মোবাইল এক্সেসরিজ, নিত্যপ্রয়োজনীয় গৃহস্থালি পণ্য, বাথ অ্যান্ড বডি, স্কিনকেয়ার, ঘড়ি, জুতা, এবং নারী ও পুরুষের ফ্যাশন সামগ্রী। সর্বাধিক বিক্রিত পণ্যের মধ্যে হায়ার ওয়াশিং মেশিন ও গিজার, অ্যাডিডাস স্নিকার্স, ফাস্ট্র্যাক ঘড়ি, নিভিয়া ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম, চিনিগুঁড়া চাল, এক্সিকিউটিভ অফিস চেয়ার, মিনিস্টার ওয়ান ওয়াশ, হিমালয়া নারিশিং স্কিন ক্রিম, লাক্স বডি ওয়াশ, স্টারশিপ ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার, সার্ফ এক্সেল লিকুইড, ইলেকট্রিক কেটলি এবং কমফোর্টার ছিল উল্লেখযোগ্য। নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং লাইফস্টাইল- উভয় ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের প্রবল আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়েছে।
ইলেকট্রনিক্স, ফ্যাশন, এফএমসিজি এবং লাইফস্টাইল ক্যাটাগরিতে দারাজ মলের ব্র্যান্ডগুলো অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে। হায়ার, রিয়েলমি, টিপি-লিংক, বাটা, কারেন, গুডম্যান, নিভিয়া, স্কিনও, বুনিয়াদি, লোটো, রিগ্যাল ফার্নিচার, মার্কস, ডেটল, হিমালয়া, প্যারাসুট এবং এসকেএফ কর্পোরেশনের মতো ব্র্যান্ডগুলো ছিল গ্রাহকদের পছন্দের শীর্ষে। দারাজ মলের নির্ভরযোগ্যতা, পণ্যের গুণগত মান এবং সেরা অফারগুলোই গ্রাহকদের এই বিপুল অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছে।
এবারের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে গ্রাহকদের আচরণের একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ছিল ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যাপক প্রসার। মোট বিক্রয়ের ৫০ শতাংশেরও বেশি পেমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে ব্যাংক কার্ড এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে, যা ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি মানুষের ক্রমবর্ধমান আস্থার ইঙ্গিত দেয়। এছাড়া, দারাজ অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম মোট বিক্রয়ে ২০ শতাংশেরও বেশি অবদান রেখেছে, যা ই-কমার্স ইকোসিস্টেমে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এবং ইনফ্লুয়েন্সারদের ভূমিকার গুরুত্ব প্রমাণ করে।
পাশাপাশি, নতুন গ্রাহক তৈরির ক্ষেত্রেও এই ক্যাম্পেইন ছিল সফল; মোট বিক্রয়ের ২৫ শতাংশেরও বেশি এসেছে দারাজে নতুন কেনাকাটা করা গ্রাহকদের কাছ থেকে। দারাজের দেশব্যাপী বিস্তৃত লজিস্টিকস নেটওয়ার্কের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়ে রংপুর থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ৬৯০ কিলোমিটার দূরত্বে সফলভাবে পণ্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, যা ছিল এই ক্যাম্পেইনের দীর্ঘতম ডেলিভারি।
এই অভাবনীয় সাফল্য প্রসঙ্গে দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেন ই বলেন, ডিজিটাল কমার্সের সক্ষমতা, গ্রহণযোগ্যতা এবং প্রভাব আবারও প্রমাণ করেছে এবারের ১১.১১ ক্যাম্পেইন। আমাদের ওপর গ্রাহকদের আস্থা, দারাজ মল পার্টনারদের সহযোগিতা এবং হাজারো সেলারের নিরলস প্রচেষ্টাই এই রেকর্ড প্রবৃদ্ধির মূল কারণ। দেশজুড়ে গ্রাহকদের জন্য একটি স্বাচ্ছন্দ্যময়, নির্ভরযোগ্য এবং ফলপ্রসূ অনলাইন শপিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অনবদ্য সাশ্রয়, ডিজিটাল পেমেন্টের দ্রুত বিকাশ, ব্র্যান্ডগুলোর ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং দারাজ মলের রেকর্ড সাফল্যের মধ্য দিয়ে ১১.১১ ক্যাম্পেইন ২০২৫ আবারও প্রমাণ করলো যে, দারাজ বাংলাদেশই দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অনলাইন শপিং গন্তব্য এবং ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোর জন্য বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available