• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ২৮শে কার্তিক ১৪৩২ রাত ১০:৩৯:৪৩ (12-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়াকে শায়েস্তা করতে যুদ্ধজাহাজ পাঠালেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার জন্য ক্রমেই হুমকি হয়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ আমেরিকার এই দুই দেশকে শায়েস্তা করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এবার ক্যারিবীয় সাগরে পৌঁছে গেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডকে কেন্দ্র করে গঠিত মার্কিন নৌবহর। ১২ নভেম্বর বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাদকবিরোধী অভিযানের আড়ালে যুদ্ধজাহাজের এই বিশাল বহর মোতায়েন করেছে মার্কিন নৌবাহিনী। আর এটিকে কেন্দ্র করে ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা নতুন উচ্চতা ছুঁয়েছে। বিবিসি বলছে, গত মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই স্ট্রাইক গ্রুপ অঞ্চলটিতে পাঠানো হয়। এ সময় ক্যারিবীয় ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে কথিত মাদকবাহী নৌযানের ওপর অন্তত ১৯টি হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ৭৬ জন।অবশ্য, এই হামলাগুলোর প্রেক্ষাপটে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সংকট তৈরি’ এবং তার বামপন্থি সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করার অভিযোগ এনেছেন।ভেনেজুয়েলার পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোর সরকারের সম্পর্কও ক্রমেই তিক্ত হচ্ছে। ট্রাম্প পেত্রোকে দুষ্কৃতকারী ও খারাপ লোক বলে উল্লেখ করেছেন। এর জবাবে মঙ্গলবার পেত্রো তার দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে তথ্য বিনিময় বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবশ্যই ক্যারিবীয় অঞ্চলের মানুষের মানবাধিকারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।এদিকে, মার্কিন নৌবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১১ নভেম্বর স্ট্রাইক গ্রুপটি যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন কমান্ডের দায়িত্বাধীন এলাকায় প্রবেশ করেছে। এই কমান্ড লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা তদারকি করে।নৌবহরটিতে ৪ হাজারেরও বেশি নাবিক ও ডজনখানেক বিমানসহ ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড, বেশ কয়েকটি গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার এবং অন্যান্য সহায়ক জাহাজ রয়েছে।পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল জানান, এই শক্তিবৃদ্ধির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি ও প্রতিরোধের সক্ষমতা বাড়াবে এবং মাদক পাচার ও আঞ্চলিক অপরাধী নেটওয়ার্কও দমন হবে।এর আগে, নভেম্বরের শুরুতে এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি ভেনেজুয়েলা সরকারকে উৎখাত বা যুদ্ধ শুরু করতে চান না। তবে তিনি এও জানান, ধ্বংস করা প্রতিটি নৌযান ২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকায়।এছাড়া, ভেনেজুয়েলায় স্থল হামলার পরিকল্পনা রয়েছে কি না— এমন প্রশ্নে ট্রাম্প সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, আমি এখনই বলব না, আমি কী করতে যাচ্ছি বা করতে যাচ্ছি না।