ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু, এক সপ্তাহে ২২ জনের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক: এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ নগরের পাশাপাশি গ্রামে-গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে যে উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল সংশ্লিষ্টরা সেটা নিতে পারেনি। ফলে প্রতিদিন ডেঙ্গুতে মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে (শনি-শুক্রবার) ডেঙ্গুতে ২২ জনের মৃত্যু এবং তিন হাজার ৭৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা গত সপ্তাহের তুলনায় বেশি। গত সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ১৫ জনের মৃত্যু এবং তিন হাজার ৪৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।গত সাত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৩ সেপ্টেম্বর দুইজনের মৃত্যু এবং ২৭৯ জন হাসপাতালে, ১৪ সেপ্টেম্বর তিনজনের মৃত্যু এবং ৬৮৫ জন হাসপাতালে, ১৫ সেপ্টেম্বর পাঁচজনের মৃত্যু এবং ৬৩৬ জন হাসপাতালে, ১৬ সেপ্টেম্বর একজনের মৃত্যু এবং ৬৬৫ জন হাসপাতালে, ১৭ সেপ্টেম্বর পাঁচজনের মৃত্যু এবং ৬২২ জন হাসপাতালে, ১৮ সেপ্টেম্বর ৬ জনের মৃত্যু এবং ৬৪৭ জন হাসপাতালে, ১৯ সেপ্টেম্বর কারও মৃত্যু না হলেও ২৪৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪০ হাজার ৭০৯ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৫২৭ জন। মারা গেছেন ১৬৭ জন।বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।