কবি নজরুলের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ওসমান হাদি
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই বিপ্লবী শহিদ শরীফ ওসমান হাদি।২০ ডিসেম্বর শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর জাতীয় নজরুল সমাধি চত্বরে তাকে দাফন করা হয়।এর আগে শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার বড় ভাই জানাজার নামাজ পড়ান। জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অন্যান্য উপদেষ্টা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিত্বসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়।জানাজার আগে দেওয়া বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘শরীফ ওসমান হাদির মন্ত্র ছিল ‘বল বীর, চির উন্নত মম শির’। তিনি আমাদের মাথা নত না করার মন্ত্র দিয়ে গেছেন। এই মন্ত্র আমাদের অন্তরের মধ্যে থাকবে।’এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, হাদির ওপর হামলার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো হামলাকারীদের গ্রেফতার করা হয়নি। তিনি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদাবক্স চৌধুরীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জনগণকে জানানোর দাবি জানান।এর আগে শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমান হাদির মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে গোসলের জন্য মরদেহটি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। ভোর থেকেই তাকে শেষবারের মতো দেখতে হাসপাতাল ও জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ জড়ো হন।উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরীফ ওসমান হাদি। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে পরিবারের সিদ্ধান্তে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে শনিবার দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়।