• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ২৫শে কার্তিক ১৪৩২ রাত ১২:০৪:১৩ (10-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

সৈয়দপুরে আগাম জাতের ধানে বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের মঙ্গাপীড়িত এলাকা হিসেবে পরিচিত নীলফামারীর সৈয়দপুরে এখন ভিন্ন চিত্র। আগাম জাতের ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। ভালো ফলনের সঙ্গে বাজারে ধানের দামও সন্তোষজনক থাকায় কৃষকের আনন্দ যেন দ্বিগুণ।একসময় আশ্বিন ও কার্তিক মাসকে বলা হতো ‘মঙ্গার মাস’। কাজের অভাবে কষ্টে দিন কাটত কৃষিশ্রমিকদের। কিন্তু এখন আর সেই দুর্দিন নেই। আগাম জাতের ধান চাষে ওই মাসগুলো পরিণত হয়েছে আশীর্বাদে।বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের কৃষক নুর ইসলাম বলেন,‘আগে আশ্বিন-কার্তিক মানেই অভাব-অনটনের সময়। এখন আর মঙ্গা কী, তা বোঝা যায় না। আগাম জাতের ধান আসায় আমরা খুশি।’কৃষিশ্রমিক একরামুল হক জানান, ‘আগে এই সময় কাজের অভাবে বসে থাকতে হতো। এখন আগাম ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের উৎসব।’কাজী পাড়ার কৃষক হাকিম বলেন, ‘ফলন ভালো হয়েছে, ধানের দামও ভালো। বিনা ধান-৭৫ জাতের প্রতি বিঘায় পেয়েছি ৩৪ মণ ফলন।’এই অঞ্চলে এ বছর চাষ হয়েছে আগাম জাতের বিভিন্ন ধান, বিনা-৭, বিনা-৭৫, ব্রী ধান-৩৩, ব্রী ধান-৫৬ ও ব্রী ধান-৬২। ২৫ দিনের চারা রোপণের ৯০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে ধান ঘরে তোলা যায়। আগাম ফসল ঘরে তোলার পর একই জমিতে কৃষকরা আলু, সরিষা, শাকসবজি বা ভুট্টা চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ফলে বছরে তিন ফসলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ বলেন, ‘কৃষকরা আগাম জাতের ধান চাষে ক্রমেই আগ্রহী হচ্ছেন। আমরা তাদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিচ্ছি। এসব ধানের ফলন প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ২৫ মণ পর্যন্ত হচ্ছে। ফলে বাজারে চালের দামও স্থিতিশীল রয়েছে।’