• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ১২ই পৌষ ১৪৩২ বিকাল ০৩:১৭:৩৭ (26-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

পাটগ্রামে ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি: ঘন কুয়াশায় ছেয়ে গেছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা। তীব্র শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ১১.৫°C পর্যন্ত নেমে যায়। আর কুয়াশার ঘনত্ব এত বেশি যে রাস্তা, মাঠ আর ঘরবাড়ি সব সাদা চাদরে ঢেকে যায়। বিশেষ করে নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষগুলোর অবস্থা খুব খারাপ। টিনের চালা আর পুরোনো কাপড়ই তাদের একমাত্র উষ্ণতার ভরসা। এই শীতে শিশু ও বয়স্কদের সর্দি‑কাশি, শ্বাসকষ্ট আর নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়ছে, তাই স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত পুরো এলাকা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় সড়ক ও মাঠঘাটে দৃষ্টিসীমা কমে যায়। ফলে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। সকালে অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্নস্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও খোলা প্রান্তরের মানুষ। টিনের চালা ঘর, ফাঁকা দেয়াল আর কয়েক টুকরো পুরোনো কাপড়ই তাদের শীত নিবারণের একমাত্র ভরসা। গভীর রাতে ঘন কুয়াশা শিশিরের মতো নয়, যেন বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ে-ভিজে যাচ্ছে সবকিছু।পাটগ্রাম উপজেলাজুড়ে সকাল থেকে কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে গেছে। দিনের বেলাতেও সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। এতে ভোরে কাজে বের হওয়া দিনমজুর, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ কাজে যেতে পারছে না। শীতের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে রোগবালাইও।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেকেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। তবে দরিদ্র পরিবারের অনেকেরই প্রয়োজনীয় ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই।পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. দেবব্রত কুমার রায় বলেন, শীতকালে শিশু ও বয়স্কদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি ঠান্ডা এড়িয়ে চলা এবং অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন।