পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন: পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: পুরান ঢাকার ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে গুলিতে নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুন। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।১০ নভেম্বর সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে অজ্ঞাত কয়েকজন সশস্ত্র ব্যক্তি মামুনের বুকে গুলি করে পালিয়ে যায়।স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।ডিএমপির লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার আহসান উদ্দিন সামি বলেন, ‘নিহত মামুন একজন তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।’নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, তার পুরো নাম তারিক সাইফ মামুন (৫৫)। তার বাবার নাম এসএম ইকবাল, বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মোবারক কলোনি এলাকায়।ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহ জানান, সকাল ১১টার দিকে হাসপাতালের সামনের সড়কে গুলির শব্দ শোনে তারা বাইরে এসে একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়, যেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এর আগে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে অভিনেতা সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে পরিচিত মামুনের ওপর হামলা চালিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। তখন ভুবন চন্দ্র শীল নামে এক আইনজীবী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।তদন্ত সূত্রে জানা যায়, ওই হামলার তিন মাস আগে ২৬ বছর কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান মামুন। পরে মগবাজারের একটি বার থেকে টোলারবাগের বাড়িতে ফেরার পথে বিজি প্রেস এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা সাত-আটজন দুর্বৃত্ত তার গাড়ি আটকে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।তৎকালীন পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, হামলাকারীরা শীর্ষ অপরাধী সানজিদুল হাসান ইমনের অনুসারী ছিলেন। ইমন বর্তমানে ১৭ বছরের সাজা ভোগ করছেন এবং সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। মামুন একসময় ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হলেও, কারামুক্তির পর তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।পুলিশ জানিয়েছে, সূত্রাপুরে সোমবারের হত্যাকাণ্ডটি পূর্বশত্রুতার জেরে সংঘটিত হতে পারে। ঘটনার বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে।