উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় চলতি মৌসুমে খিরা চাষে দেখা দিয়েছে বাম্পার ফলন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা, রোগবালাই তুলনামূলক কম হওয়া এবং কৃষকদের সঠিক পরিচর্যার ফলে এ উৎপাদন নজরকাড়া সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাজারে খিরার চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় কৃষকদের মুখে এখন হাসি, জমে উঠেছে গ্রামীণ অর্থনীতি।

স্থানীয় কৃষক ইন্তাজ আলী বলেন, এ বছর আবহাওয়া পুরোপুরি খিরা চাষের পক্ষে ছিল। তাছাড়া রোগবালাই কম হওয়ায় উৎপাদন গতবারের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। প্রতি বিঘায় খিরা ৬০ থেকে ৭০ মণ পর্যন্ত উঠছে, যা আমাদের প্রত্যাশারও বেশি।


তিনি আরও জানান, বর্তমানে বাজারে দেশি খিরা ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে উৎপাদন খরচ বাদেও কৃষকেরা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি লাভ করছেন। লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে খিরা চাষে নতুন করে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লাপাড়ার কয়ড়া-মোহনপুর ইউনিয়নের কৃষক রফিকুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম জানান, খিরা চাষে সময় কম লাগে এবং শ্রম খরচও তুলনামূলক কম। ফলে অন্যান্য সবজি কিংবা ধানের তুলনায় খিরায় লাভ বেশি হওয়ায় আগামী মৌসুমে তারা খিরার আবাদ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন।
তাদের মতে, কম বিনিয়োগে দ্রুত লাভ হওয়ায় খিরা এখন স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয় ফসল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী জানান, খিরা উৎপাদনে কৃষকদের সফলতা ধরে রাখতে আমরা নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দিচ্ছি। প্রয়োজনীয় সার, বীজ সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর রবি মৌসুমে খিরা ও শসার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬০ হেক্টর। কিন্তু কৃষকদের আগ্রহ ও সহযোগিতার ফলে ৩৬৫ হেক্টর আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার বেশি।
বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো দাম মিলিয়ে উল্লাপাড়ার কৃষকেরা এখন দারুণ উৎসাহিত। কৃষক থেকে ব্যবসায়ী সবাই খিরা চাষকে লাভজনক হিসেবে দেখছেন। অনেক কৃষকই আগামী বছর আরও বেশি জমিতে খিরার আবাদ করবেন বলে জানিয়েছেন। ভালো ফলন ও ন্যায্যমূল্যের সমন্বয়ে উল্লাপাড়ায় এখন খিরাকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available