নিজস্ব প্রতিবেদক: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান শিকদারের (৫১) বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার আট দিন পর রুপা আক্তার (১৪) নামের ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।

৫ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে নিহত শিক্ষার্থীর মা বেবি বেগম বাদী হয়ে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরপর অভিযুক্ত শিক্ষক ও একই মাদ্রাসার আরেক নারী শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


নিহত রুপা আক্তার আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসার পঞ্চম জামাতের শিক্ষার্থী ছিল।
গ্রেফতাররা হলেন, মাদ্রাসার শিক্ষক মাহমুদুল হাসান শিকদার। তিনি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদ শিকদারের ছেলে। অপরজন একই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষিকা খাদিজা বেগম।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের নিজ বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করে। এর আগে গত ২৬ নভেম্বর মাদ্রাসা ছুটির পর অভিযুক্ত শিক্ষকের রুমে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
নিহতের মা বেবি বেগম বলেন, ‘ওই শিক্ষক মাদ্রাসা ছুটির পরে আমার মেয়েকে রুমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে সে বাড়িতে এসে আমাদের জানালে মানসম্মানের ভয়ে আমরা চুপ হয়ে যাই। কিন্তু আমার মেয়ে ঘটনা সহ্য করতে না পেরে আট দিন পর আত্মহত্যা করেছে। আমি এই ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শীতল চন্দ্র পাল বলেন, ‘বামনডাঙ্গা মহিলা মাদ্রাসার হুজুরের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বেবি বেগম বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ও একই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষিকা খাদিজা বেগমকে আমরা গ্রেফতার করেছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available