• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩২ রাত ০৯:০১:২৬ (02-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:

জুলাইয়ে বাধাদানের অভিযোগে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত, ছাত্রদের স্থায়ী বহিষ্কার

২ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৯:০১

সংবাদ ছবি

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : জুলাই আন্দোলনে বাধা দান ও হুমকি প্রদানের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২ শিক্ষক, ১ কর্মকর্তা ও ১৩ শিক্ষার্থীকে শাস্তি প্রদান করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

Ad

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়।

Ad
Ad

জানা গেছে, সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল মাহমুদ কায়েস এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম রিয়েল সরকার।

শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সাবেক পরিচালক ড. মো. মেহেদী উল্লাহ। এছাড়াও শাস্তিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হলেন সাবেক রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। তাদেরকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত ১৩ শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের এখনো ছাত্রত্ব রয়েছে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং যাদের ছাত্রত্ব নেই তাদের মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় সনদ বাতিল করা হয়েছে।

এছাড়াও শাস্তি পেয়েছেন থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আনাস সরকার, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের জুবায়ের আহমেদ সাব্বির (অ্যালেক্স সাব্বির), সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. ইনজামামুল হাসান, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের কে এম রাজু, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মোছা. তৃণা মির্জা, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের রিয়াজ উদ্দিন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নাইম আহমেদ দুর্জয়, চারুকলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের হাসিব সিদ্দিকী, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাসনীমুল মুবীন, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. মোস্তাকিম মিয়া ও দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. পারভেজ মাতুব্বর।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধা দান, ধর্ষণের হুমকি, চিকিৎসা প্রদানে বাধা প্রদান এবং উষ্কানিদাতাদের তথ্য অনুসন্ধানে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. হাবিব-উল-মাওলাকে আহ্বায়ক এবং প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমানকে সদস্য সচিব করে ১০ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সাক্ষ্যগ্রহণ, ভিডিও ফুটেজ ও নথিপত্র বিশ্লেষণ শেষে কমিটি একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে অভিযোগগুলোকে বিশ্বাসযোগ্য ও প্রমাণিত উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ






সংবাদ ছবি
এবার ৫২৭ থানার ওসি লটারিতে নির্ধারণ
২ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৭:১৬






Follow Us