• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ২৮শে কার্তিক ১৪৩২ রাত ১০:৪৪:৪৭ (12-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:

পঞ্চগড়ে গণশুনানিতে ঘুষ প্রমাণিত, দুই প্রধান শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কার

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ্যপ্রহরী ও দপ্তরি নিয়োগের নামে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পঞ্চগড়ে দুই প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করার আদেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।৯ নভেম্বর রোববার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরের সরকারি অডিটোরিয়াম চত্বরে অনুষ্ঠিত দুদকের গণশুনানিতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এ আদেশ দেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবর আজিজী।বহিষ্কৃত দুই প্রধান শিক্ষক হলেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হায়াত বাবুল এবং ধাক্কামারা ইউনিয়নের বুড়িরবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঝরেন রায়।গণশুনানিতে ভুক্তভোগী আল আমিন জানান, প্রধান শিক্ষক আবুল হায়াত বাবুল ভুয়া সার্কুলার প্রকাশ করে নৈশ্যপ্রহরী পদে নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ নেন। পরে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ফেরত দিলেও বাকি ৮০ হাজার টাকা ফেরত দেননি।শুনানিতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই প্রধান শিক্ষক ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। কমিশন তাকে সাময়িক বহিষ্কার করার আদেশ দেয় এবং ঘুষের অবশিষ্ট ৮০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দেয়।অন্যদিকে, বুড়িরবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঝরেন রায় চার বছর আগে দপ্তরি নিয়োগের কথা বলে নাসরিন আক্তার নামের এক নারীর কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। ভুক্তভোগী বারবার টাকা ফেরত চাইলেও তিনি তা ফেরত দেননি।দুদকের গণশুনানির খবর পাওয়ার পর ৭ নভেম্বর শুক্রবার তিনি তড়িঘড়ি করে টাকা ফেরত দিলেও, শুনানিতে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করায় তাকেও সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়।পঞ্চগড় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ আহম্মেদ বলেন, ‘দুদকের গণশুনানিতে প্রমাণিত অভিযোগের ভিত্তিতে দুই প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় আদেশ কার্যকর করা হবে।’এদিন সরকারি ও বেসরকারি ৪২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মোট ১৮১টি অভিযোগ জমা পড়ে। এর মধ্যে ১১৮টি অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের নিষ্পত্তিও করা হয়। দুদকের ঠাকুরগাঁও সমন্বিত জেলা কার্যালয় জেলা প্রশাসন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, পঞ্চগড়-এর সহযোগিতায় এই গণশুনানির আয়োজন করে।দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবর আজিজী বলেন, ‘দেশের সর্বস্তরে দুর্নীতি এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে আমরা সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরতে পারতাম না। এখন সময় এসেছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা নিজেদের সংবরণ করবেন। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন হয়— এ কথা আমাদের মনে রাখতে হবে।’গণশুনানিতে দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন, জেলা প্রশাসক সাবেত আলী, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ডা. খালেদ তৌহিদ পুলকসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান